এ এম উবায়েদ, নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিঠামইনে পৌঁছে সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন তিনি।
নবনির্মিত সেনানিবাস এলাকায় একটি গাছের চারা রোপন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পতাকা উত্তোলন করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। আবদুল হামিদ সেনানিবাস ২৭৫ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। নব এই সেনানিবাস হাওর অঞ্চলের প্রতিরক্ষা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার কাজ করছে। সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম।
দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার সকাল এগারটার দিকে হাওর এলাকায় পৌঁছে। এদিন বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন তিনি।
এরইমধ্যে নানান জায়গা থেকে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে জড়ো হতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর জনসভা ঘিরে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছেন সাধারণ জনগণ।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে গতকালই কিশোরগঞ্জ গেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। হাওরের ২০ পদের মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তার বাড়িতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাত্রা উপলক্ষ্যে পুরো কিশোরগঞ্জ প্রস্তুত এবং অধীর অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
১৯৯৮ সালে সবশেষ কিশোরগঞ্জে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ২৫ বছর পর তার এ সফর ঘিরে হাওরজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যান, তখন হেলিকপ্টার নামার মতো উপযুক্ত জায়গা ছিল না। আর এখন উন্নয়নের চরম শিখরে হাওর এলাকা। তাই এবারের সফরে বদলে যাওয়া এক হাওর দেখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।